শেষের দিকে চলতি অর্থবছরের মেয়াদ। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজও ইতিমধ্যেই প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, যা আগামী জুনে জাতীয় সংসদে পাশ হয়ে জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
প্রতি বছরই বাজেটের পরে তামাকজাত পণ্যের উপরে প্রভাব পরে। তবে এবার বাজেটের আগেই সেই প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আসন্ন প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনার আগেই বাজারে বেড়েছে সিগারেটের দাম। প্রতি শলাকা বেনসন সিগারেট এক টাকা বেড়ে ১৬, আর গোল্ডলিফ এক টাকা বেড়ে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোববার (২২) মে রাজধানীর বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে এই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
আগে যে মার্লবোরো সিগারেট প্রতি পিস ১৫ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে ১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রয়েল, ডার্বি, হলিউড ও লাকি স্ট্রাইকের প্রতি শলাকা বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা মতো সিগারেট মিলছে না। ডেলিভারি দেওয়া বন্ধ রয়েছে সিগারেট।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় খুচরা দোকানে সিগারেট বিক্রি করেন দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেন, বাজেটের আগেই হঠাৎ করে বাজারে সিগারেটের সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত সিগারেট সরবরাহ পাচ্ছি না। ফলে সিগারেট কিনতেও হচ্ছে বাড়তি দামে, বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
এদিকে সিগারেট সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর দাবি, তারা নিয়মিত সিগারেট সরবরাহ করছেন। বাজেটের পর বাড়তি দাম পাওয়া যাবে এই আশায় সিগারেট লুকিয়ে রাখছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারাই বাজারে তৈরি করছেন কৃত্রিম সংকট।
সিগারেটের দাম বৃদ্ধির খবরে ক্ষুব্ধ ধূমপায়ীরা। তাদেরই একজন ইমদাদুল হক বলেন, বাজেটের আগে ইচ্ছে করেই সিগারেট লুকিয়ে রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। সয়াবিন তেলের পরে এবার সিগারেটেও নজর পড়েছে তাদের।